আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একটা শিশু এখন আমাদেরকে যেভাবে কর্মকাণ্ড গুলো করতে দেখবে ওই শিশু সেভাবেই শিক্ষা গ্রহণ করবে অর্থাৎ ও যখন ছোটবেলায় দেখবে ওর পাশে থাকা ব্যক্তি গুলো অর্থাৎ বাবা-মা ভাই-বোন দাদা-দাদি নানা-নানি ইত্যাদি ব্যক্তিরা বিভিন্ন রকমের কর্মকাণ্ড করতেছে। সেটা হতে পারে নেগেটিভ হতে পারে পজিটিভ সকল বিষয়গুলো ও শিক্ষা গ্রহণ করবে।

একটি শিশুর প্রধান শিক্ষালয় হল পরিবার || পরিবার প্রতিটি শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষালয়।


এবং ওর কাছে থাকা ব্যক্তিগত যদি বিভিন্ন খারাপ কাজ অর্থাৎ নেগেটিভ কর্মকাণ্ডের মধ্যে লিপ্ত থাকে তাহলে কিন্তু ওই শিশু টা আস্তে আস্তে ওটার উপরে আসক্ত হয়ে যাবে এবং ওটা ওর কাছে খুব পরিচিত একটি কার্য হয়ে যাবে।


এবং বিপরীতভাবে যদি ওই শিশুর পাশে শিক্ষণীয় এবং সঠিক কোনো কথা কাজ করা হয় তাহলেও কিন্তু সেটাই শিখবে। আমরা জানি যে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যখন তার মায়ের গর্ভে ছিলেন তখন তার মা কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করত এবং জন্মের পরপরই ওই সন্তান 17 পারা কোরআন শরীফের হাফেজ হয়েছিল।


অর্থাৎ এখান থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে গর্ভে থাকা অবস্থায় সন্তান সবকিছু শুনে এবং বুঝতে পারে এবং ধরে রাখার ক্যাপাসিটি থাকে। তাই সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় অবশ্যই এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা যাবে না যেগুলো সন্তান শিখলে তার জীবনে বিভিন্ন রকমের খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।


সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন রকমের শিক্ষনীয় বই ধার্মিক বইগুলো এবং কুরআন তিলাওয়াত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এতে করে শিশুর মস্তিষ্ক এবং ব্রেন ভালো থাকে এবং জন্মের পরে একজন সৎ এবং মেধাবী শিশু হিসেবে গণ্য হতে সাহায্য করে।


তাই একটি শিশুর জন্মের আগে এবং জন্মের পরে ফ্যামিলি এবং সমাজের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে একটি শিশুকে বা একদল শিশুকে সুন্দর একটি প্রজন্ম এবং সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গঠনের চাবিকাঠি হিসেবে হাতিয়ার হওয়া সম্ভব।


একটি সমাজ থেকে শিশুরা যেটা শিখবে সেটাই তারা বাস্তবিক জীবনে অর্থাৎ এর রিয়েল লাইফে প্রয়োগ। একটা শিশুর সবথেকে বড় শিক্ষালয় হলো তার পরিবার পরিবার থেকে সকল শিক্ষা পেয়ে একটি শিশু যখন বাহিরে আসে তখনই সে সমাজের একজন সদস্য হয়ে যায় এবং সমাজের আচার-আচরণ রীতিনীতি শিখতে শুরু করে। তখনই একটি সমাজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল একটি শিশুকে সঠিক সমাজের সাথে পরিচয় করো না এবং সমাজের ভালো দিক দেখানো এবং খারাপ দিক গুলো বর্জন। যদি সে খারাপ দিক গুলো দেখে এবং তার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় বাস্তবিক জীবনে এবং পরবর্তীতে ওই খারাপ কাজগুলো শিশুদের উপর বড় একটি প্রভাব।


এই খারাপ কর্মকান্ড এবং খারাপ বিষয়গুলো একটি শিশুর মস্তিষ্কের উপরে প্রচন্ড পরিমাণ আঘাত পেয়েছে এবং তারা তাদের চলার পথে বিভিন্ন বাধা এবং বিভিন্ন ভয়াবহ কর্মকান্ডের সাথে লিখতে হবে।


আমরা জানি প্রতিটি মানুষ একসময় শিশু ছিল শিশু থাকতো সময়ের পরিবর্তন এবং বয়সের পার্থক্যের কারণে একটি শিশু বয়সের বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌবন কৌশল এবং বার্ধক্য পরিণত হয়।


প্রতিটি স্তরের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। সকল স্টোর থেকে সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একটি সুস্পষ্ট এবং সঠিক মানুষ হিসেবে রূপান্তরিত হওয়া যায়।


টাইট শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে তার যৌবন কৈশোর এবং বার্ধক্যের সকলের স্থল গুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত। প্রতিটা স্থল একটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটা মানুষ এই সকল স্তর গুলো একদিন পার করবে। যখন একজন শিশু কৌশরে যাবে তখন তার শিশু থাকাকালীন সময়ে ভুল পদক্ষেপ গুলো সম্পর্কে অবগত হবে। এবং একটি কৌশল বয়স থেকে যৌবনে পদার্পন করার পরে কৌশলের ভুলভ্রান্তি গুলো বুঝতে পারবে। এবং যৌবনের পরে যখন বাধ্যক্য পরিণত হবে বার্ধক্যে যাওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারবে তার যৌবনের কীর্তি কর্মগুলো।

Post a Comment

أحدث أقدم